নব সূচনা সবাই চায়, তবে নতুন করে শুরু করার চেয়ে বিদ্যমান কাজগুলোকে সম্পন্ন করার মাঝেই কৃতিত্ব রয়েছে।
কোনকিছু শুরু করা বা শুরু করার আগ মূহুর্ত সব সময় উত্তেজনাপূর্ণ। নতুন কোম্পানির প্রথম দিন, কোম্পানির প্রথম লেনদেন, প্রথম পণ্য বিক্রয় – সবকিছুই আনন্দের কারণ তখন মনে হয় যেকোন কিছুই করা সম্ভব এবং সবার মাঝে আশার কোন কমতি থাকে না। নতুন কোন কিছুর উত্তেজনা থাকবেই কিন্তু পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় কাজগুলোও সেরে ফেলা জরুরি। কোম্পানিরর মালিক বা ম্যানেজার হওয়ার ফলে আপনি জেনে থাকবেন যে কোম্পানির কার্যক্ষমতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্যক্তিগত কার্যক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই কাজ করতে আগ্রহী কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের কিছু জিনিস পুনর্বিবেচনা করে নিতে হয়। কিছু দরকারি পয়েন্ট এখানে তুলে ধরা হলঃ
অপছন্দের কাজগুলো আগে করুন
কঠিন কাজ ও সিদ্ধান্ত ফেলে রাখলে আপনার কার্যক্ষমতা কমে যায়। অফিসে গিয়ে দিনের শুরুতেই কঠিন ফোন কলগুলো আগে সেরে নিন। সাধারণত কঠিন কাজগুলো পরিষ্কার মনোভাব নিয়ে পুরো উদ্যম সহকারে করতে হয়, তবে দিনের শুরুতে কাজগুলো সেরে ফেললে ঝামেলা কমে যায় এবং দিনের পরবর্তী সময় ভাল কাটে।
ইনবক্স নিয়ে পড়ে থাকবেন না
ইনবক্স বা টেক্সট বার্তার মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করা যে ফলপ্রসু নয় তা নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। আপনি হয়ত জেনে থাকবেন কোন বার্তার দ্রুত উত্তর দিতে গিয়ে আপনার হাতের কাজে আপনি তালগোল পাকিয়ে ফেলতে পারেন। এছাড়া পরে চিন্তা-ভাবনা করে একটি উত্তর দেওয়াটাই হয়ত শ্রেয় হবে। অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে হবে তবে তার মানে এই নয় যে আপনি শুধু সেটা নিয়েই পড়ে থাকবেন।
হিংটিং ছট খেলবেন না
আমরা সবাই এর পাল্লায় পড়ে যাই। আপনি হয়ত আপনার অংশ শেষ করে কাজটি অন্য আরেকজনকে করতে দিলেন এবং আপনার কার্যতালিকা থেকে সেটিকে বাদ দিয়ে দিলেন। এর মানে কিন্তু এই নয় যে কাজটি এগিয়ে গেছে, অন্যকে কাজটি দেওয়ার আগে চিন্তা করুন সেটি আসলেই আপনার লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে কিনা। অন্য পক্ষের সাথে কথা বলুন, মেইল দিয়ে বসে থাকবেন না। মেইল আদান-প্রদান কাজের অংশ হলেও যা একটি ছোট আলাপ বা ফোনে কথার মাধ্যমে করা সম্ভব তার জন্য মেইল না দেওয়াটাই শ্রেয়।
মনযোগ ধরে রাখুন
পূর্ণ মনযোগ দিয়ে কাজ করার যখন দরকার হয়, তখন একসাথে দুই-তিনটি কাজ না করে একটি একটি করে কাজ করুন। এভাবে আপনি দ্রুত কাজ শেষ করতে পারবেন এবং মনযোগ ধরে রাখতে পারবেন। পূর্ণ মনযোগ থাকলে অতি জরুরি কাজগুলো আরো সাবলীল ও ভালভাবে সম্পন্ন করা যায়।
কাজের সূচনা করুন
একঘেঁয়েমি সবখানেই দেখা যায় এবং কর্মক্ষেত্রও এর বাইরে নয়। যা শুরু করা হয় না তা আর কখনও করা হয় না। যেসব কাজ চলে, সেগুলো চলতেই থাকে। প্রথম দেখায় হয়ত যে কাজগুলোকে বড়, জটিল বা অপছন্দনীয় বলে মনে হয়, সেগুলো কিন্তু শুরু করা গেলে ঝামেলা কমে যায়। কোন কাজ যদি অনেক বড় হয়, তাহলে তা কয়েকটি খন্ডে বিভক্ত করে এক এক করে তা সম্পন্ন করুন। এভাবে কঠিন ধাপগুলো সহজেই অতিক্রম করা যায়।
নিজেকে জানুন
নিজের এবং নিজের কাজ করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন। বিজনেস ট্রিপ শেষ করে ফিরতি ফ্লাইটে প্লেনে বসেই কী আপনি আপনার জরুরি রিপোর্ট তৈরি করে নিতে পারবেন? সারা রাত কাজ করার পর পরের দিনের কাজে কী আপনি আপনার সর্বোচ্চটা দিতে পারবেন? যখন আপনার কাজের ব্যাপারে পূর্ণ উদ্যম থাকবে না, তখন উত্তম হল বিশ্রাম নেওয়া বা কাজে কিছুটা বিরতি দেওয়া। বিরতির পরে আপনি পূর্ণ উদ্যমে ভালভাবে কাজটি সম্পাদন করতে পারবেন।
[অনুবাদ]