যখন আপনার টিমের সদস্য কাজে ভাল করে না তখন তাদের জন্য মধ্যস্থতা করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।আপনার টিমে একজন আক্রমণাত্মক সদস্য আছে যে টিমের কার্যক্ষমতার জন্য হুমকি। প্রতিদিনই পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে এবং আপনি জানেন যে আরো খারাপ কিছু হওয়ার আগে আপনাকে কিছু না কিছু করতেই হবে তাকে নিয়ে। কঠিন আলাপের জন্য এখানে ৪টি টিপস তুলে ধরা হলঃ
ভয় চিহ্নিত করুন
যদি আপনি সমস্যাপ্রবণ কর্মীকে মোকাবেলা করেন,তবে তাতে খারাপ হলে তা কতই বা খারাপ হতে পারে এবং তখন কি কি করা উচিত– এই প্রশ্ন নিজেকে করুন আর দেখবেন আপনি নিজেই কয়েকটি উত্তর পেয়ে যাবেন। এই মোকামেলার ফলে ঐ কর্মী হয়ত নিজেকে গুটিয়ে নেবে বা হয়ত রাগে ফেটে পড়বে। আপনি হয়ত আপনার মেজাজ ঠিক রাখতে পারবেন না, তারা হয়ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বে। যেকোন কিছুই হতে পারে। সকল সম্ভাবনা লিখে রাখুন, তারপর সে অনুযায়ী নিজের প্রত্যাশা নির্ধারণ করে ভয় কাটিয়ে ঐ কর্মীর সাথে কথা বলুন।
আপনার পক্ষপাতিত্ব চেক করুন
হতে পারে আপনি আপনার কর্মীর ব্যবহারে অসন্তুষ্ট, কিন্তু তারপরও সামান্য সহানুভূতি কাজে আসতে পারে। যখন আপনি তার মঙ্গলের জন্য তার দিকে এগিয়ে যাবেন, তখন দেখবেন প্রাতিষ্ঠানিক পদমর্যাদা একটি কার্যকর আলাপের ক্ষেত্রে কোন বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। হতে পারে ঐ কর্মী অন্য কোন কারণে চিন্তিত বা সমস্যার মধ্যে আছে। তার কাছে গিয়ে আন্তরিকভাবে তা জানতে চান, দেখবেন প্রয়োজনীয় আশ্বাস পাওয়ার পর ঐ কর্মী তার সব কথাই অকপটে আপনার কাছে তুলে ধরবে।
হাঁটুন
হাঁটুন আর ঐ কর্মীর সাথে কথা বলুন, এতে অফিসের বাইরে গিয়ে হেঁটে হেঁটে আলাপ করা হবে যেখানে অফিসের প্রভাবমুক্ত থাকা সম্ভব। অফিসের বাইরে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হয়ত নতুন বোধদয় হতে পারে। এছাড়াও আলাপের গোপনীয়তাও রক্ষা হবে।
ইগোকে পেছনে ফেলে আসুন
কার্যকর ফিডব্যাক প্রদান করতে গেলে নিজেকেও কিছুটা গঠনমূলক সমালোচনায় পড়তে হয়। পুরো আলাপে শুধু কর্মীর অক্ষমতার উপর জোর দেওয়া সুফল বয়ে আনবে না। কর্মীর ত্রুটির কথা বলতে পারলে আপনাকে আপনার নিজের ম্যানেজমেন্ট স্টাইলের ত্রুটির কথাও বলা উচিত। আর আপনার কর্মীকেও সুযোগ দিন কীভাবে সমস্যার সমাধান ক্রয়া যায় সে বিষয়ে তার মতামত দেওয়ার।