কর্মক্ষেত্র ও অন্যখানে আরও ভালভাবে কথোপকথন করার জন্য কিছু সহজ ও দরকারি টিপস
আমাদের জীবনের একটি বড় অংশ জুড়ে আমাদেরকে অন্যের সাথে কথা বলতে হয়। সেলসম্যানদের কথা বেশি বলতে হয়, আর যারা অন্তর্মুখী তারা তুলনামূলকভাবে কম কথা বলে। তবে সবাই ফলপ্রসু কথোপকথন করতে চায়।
হতে পারে আপনার ভাল আদর্শ ও মনোভাব রয়েছে, কিন্তু কথোপকথনের ব্যাপারে আপনার তেমন ভাল দক্ষতা নেই, তাই ভাসাভাসা কথোপকথন কীভাবে এড়ানো যায় তার জন্য কিছু ভাল পরামর্শ তুলে ধরা হল।
মানুষের যোগাযোগের মূল ক্ষেত্র হল ওকালতি করা – নিজ পক্ষের প্রতি যুক্তিপ্রদর্শন, নিজ চিন্তাধারা ও তত্ত্ব পেশ করা, নিজ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সত্যের ব্যাপারে বিবৃতি দেওয়া।
যে আদর্শটি আপনার নিজের মধ্যে ধারণ করাতে হবে তা আপনার কাছে খুব সহজ কিন্তু প্রায়ই মতামত অন্যদের কাছে তুলে ধরার সময় আপনি হয়ত কিছু ভুলে যাচ্ছেন। এটি শুনতে সহজ মনে হলেও দলগত আচরণের ক্ষেত্রে এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে যদি সবাই একই আদর্শ নিজের মধ্যে ধারণ করে থাকে।
প্রথমত, আপনি আপনার মতামতকে একটু সম্ভাবনা হিসেবে তুলে ধরবেন, কোন একক সঠিক উত্তর হিসেবে নয়। দ্বিতীয়ত, আপনি আরো মনযোগ সহকারে অন্যের কথা শুনবেন এবং বিকল্প মতামতের ব্যাপারে আপনার জিজ্ঞাসা উত্থাপন করবেন।
এই পদ্ধতির কিছু সুবিধা আছে – এর ফলে সমস্যা সমাধানের মনোভাব তরান্বিত হবে এবং যেসব বৈঠকে সবাই শুধু নিজের মতামত নিয়ে তর্ক করে তা এড়িয়ে যেতে সাহায্য করবে। কথোপকথনের মানোন্নয়নের মাধ্যমে আরও ভাল সিদ্ধান্ত ও বৈঠক করা সম্ভব এবং আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোকেও জোরদার করতে সক্ষম। সুতরাং দৃঢ়ভাবে আপনার জিজ্ঞাসা কীভাবে তুলে ধরবেন?
এখানে তিনটি ধাপ দেওয়া হলঃ
নিজের অবস্থান তুলে ধরুন, তারপর এ ব্যাপারে অন্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। এটি বলার চেষ্টা করুন পরিস্থিতিটাকে এই কারণে আমি এইভাবে দেখছি। আপনারা কীভাবে এটিকে দেখছেন?
অন্যের মতকে নিজের শব্দে তুলে ধরুন এবং যার মত তার কাছেই এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা জানতে চান। যেমন – “আমার কাছে মনে হল আপনার যুক্তি হল এরকম। আপনি কি এটাই বোঝাতে চাইছেন?”
বোঝার ক্ষেত্রে কোন গ্যাপ থাকলে তা ব্যাখ্যা করুন। যেমন – “আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে এই অধিগ্রহণ করাটা ভাল আইডিয়া নয়। আপনি কি আমাকে বলতে পারবেন কেন আপনার এমনটি মনে হল?”
নিজের আইডিয়া তুলে ধরার মাধ্যমে আপনি আপনার মত প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন ঠিকই তবে এর সাথে দৃঢ়তা ও জিজ্ঞাসা থাকলে আপনি মানুষের সমর্থন পাবেন। এর কারণ হল জিজ্ঞাসার মাধ্যমে আপনার মতামতকে উপেক্ষা না করে অন্য পক্ষ তা শুনবে এবং তার নিজের মতকে চাপিয়ে না দিয়ে সত্যিকার অর্থে এ ব্যাপারে তার ভাবনা তুলে ধরবে।
[অনুবাদ]