একটি কোম্পানির সাফল্যকে এর কৌশল (strategies) এর চাইতে সংস্কৃতি (culture) দ্বারা অধিকতর ব্যাখ্যা করা সম্ভব। সুখী কর্মীরাই কোম্পানিতে কর্মী ধরে রাখার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়; আর এর মাধ্যমে আপনার গ্রাহকরাও সন্তুষ্ট এবং স্থায়ী হয়।
একটি কোম্পানির সংস্কৃতির পাঁচটি বৈশিষ্ট্য যেগুলো কোম্পানির উপোরোপর উন্নতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখেঃ
কর্মীক্ষমতায়ন একটি “ফোরাম” গঠন করুন যেখানে প্রত্যেক স্তরের কর্মীরা কোম্পানির ব্যাপ্তির ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্ত প্রদান করবে। প্রতিটি ফোরামের একটি লক্ষ্য আছেঃ বিক্রয়, বিপণন, অফিস সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য ও সুস্থতার কিংবা সামাজিক ঘটনা। প্রতিটি কর্মী একটি করে ফোরামের অন্তর্ভুক্ত, এবং প্রতিটি ফোরাম সপ্তাহে একদিন কোম্পানির বেধে দেওয়া সময়ে দেখা করতে পারে।
চিন্তারনেতৃত্ব একটি কম্পানী ব্লগ তৈরি করুন এবং প্রতিটি কর্মীকে দৈনিক ‘কোম্পানী ব্লগে’ লিখার জন্য উত্সাহিত করুন, এবং প্রতি মাসে একজন কর্মীকে, যিনি একটি ব্যতিক্রমী পোস্ট লিখেছেন, মাসের সেরা ব্লগ এর একটি পুরস্কার প্রদান করুন। এই পুরস্কারটি কর্মীদেরকে চিন্তাশীল এবং আকর্ষক ব্লগ পোস্ট করতে এবং চিন্তার নেতৃত্ব উৎসাহিত করতে উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে, এছাড়াও যারা পৃষ্ঠাদর্শন ও শেয়ারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মাইলস্টোন পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কাজ করেন সেইসব কর্মীদের জন্য পুরুস্কারের সুযোগ তৈরি করতে পারেন। (এটা দরকারী কেননা এটি সামাজিক মিডিয়ায় কর্মীদের মধ্যে কোম্পানির বিক্রির ক্ষেত্রে প্রচার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।)
খোলামেলা আলোচনা অন্তত সাপ্তাহিকভাবে একবার সব কর্মীদের সমবেত করুন। এই বৈঠক ম্যানেজমেন্ট টিম এবং প্রধান নির্বাহী কোম্পানির কার্যক্রম এবং উদ্যোগ সম্পর্কে সমস্ত কর্মচারীদের অবহিত করুন। সুদৃঢ় উন্নয়ন ও উন্নতি নিয়ে আলোচনা, এবং অসামান্য কৃতিত্ব ও প্রচেষ্টার জন্য কর্মচারীদেরকে তৈরী হবার একটি সুযোগ দিন। মাসে একবার একটি ফোরাম পরিচালনা করুন যেখানে সকল কর্মীরা তাদের সমবেত আসরে ম্যানেজমেন্ট টিমকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার সুযোগ পায়।
পূর্নব্যবস্থাপনা অফিসে সুবিস্তৃত মেঝে ও কাচের দেয়াল করার চেষ্টা করুন, যা সহযোগিতা এবং অবারিত যোগাযোগের জন্য সহায়ক। প্রতিটি কর্মচারী কোম্পানির আর্থিক দৌরাত্ব এবং এর গতিবিধি সম্পর্কে জানেন। নিউ ইয়র্ক এবং বস্টনে কোম্পানির কৌশলগত নীতি ও ব্যবসা পরিকল্পনা অফিসের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হয়; যেন সকলে ত্রৈমাসিক অগ্রাধিকারগুলো, এক বছরের বিশ্লেষণ এবং তিন থেকে পাঁচ বছরের পরিকল্পনাগুলো দেখতে পারেন।
আনন্দঘনপরিবেশ প্রতিটি দিনকে চমকপূর্ন এবং আনন্দময় করে তুলতে চেষ্টা করুন যেন কর্মীরা এখানে সানন্দে কাজ করতে আসে। কর্মীদের শুভ জন্মদিনে, বিবাহ বার্ষিকীতে, তাদের সন্তানদের জন্মদিনে অথবা কর্মীদের কোন বিশেষ অবদানে (এমনকি যেখানে হয়ত কোম্পানির কোন সম্পর্ক নেই) শুভকামনা করুন (সবার সামনে, ফেসবুকে, টুইটার ইত্যাদি মাধ্যমে)।