বিপ্লব সাহা, ফ্যাশন হাউস “রঙ” এর সত্ত্বাধিকারী। এছাড়াও তিনি একজন চিত্রশিল্পী , ফ্যাশান উদ্যোক্তা এবং ফ্যাশান ডিজাইনার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সিটিউট থেকে বি এফ এবং এ এম এফ ডিগ্রি অর্জন করেন। রঙ বাংলাদেশে ১৯৯৪ সাল থেকে বিপনন ভিত্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁতশিল্প ও কারুশিল্পের প্রসারে উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত। সময়কে রাঙানোর ব্রত নিয়ে “রঙ” বাংলাদেশের পোশাক সংস্কৃতিতে নিয়ে এসেছে এক নতুনের ছোঁয়া। রঙ- এর মূল ফ্যাশন ভাবনা গড়ে উঠেছে দেশীও আত্মপরিচয়কে ঘিরে। দেশীও রঙ এবং দেশীও কাপড় এ দুই হল “রঙ” এর মূল উপাদান। পণ্যের মাধ্যমে শিল্পবোধ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া রঙ-এর মূল আদর্শ।
সাফল্য.কমঃ বাংলাদেশে বুটিক শিল্পে সফলতা অর্জনে কোন কোন বিষয়গুলোকে আপনি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন?
বিপ্লব সাহাঃ আমি যদি কিছুদিন আগের কথা যোগ করি তাহলে দেখবেন এমন একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশের মানুষের একটা বড় অংশের বিদেশি পোশাকের ওপর নির্ভর করত। কিন্তু কালের বিবর্তনে এই ধারাটার অনেকটাই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে মানুষের পোশাকের রুচিবোধের সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে যে বিষয়টা তা হল “মানুষের রুচিবোধকে” প্রাধান্য দিয়ে বেশিরভাগ বুটিক হাউসগুলো তাদের পোশাকের ডিজাইন করছে। তাই আমি মনে করি আপনি যে ধরনের পোশাকের ডিজাইন করুন না কেন প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে এই পণ্য আপনি কাদের জন্য তৈরি করছেন, আপনার “টার্গেট ক্রেতা” কারা। আর এর সাথে সাথে যে বিষয়টা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে তা হল ক্রেতাদের রুচিবোধ। আরেকটা ব্যপার আপনি খেয়াল করুন যা হল পোশাকের বৈচিত্র্যতা। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এখনকার দিনে বিশেষ করে তরুণ সমাজের মাঝে এই পোশাকের বৈচিত্র্যতা খুবই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা অনুষ্ঠানভেদে পোশাকের রং বা ধরণকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই এই বিষয়টি ও আপনার খেয়াল রাখতে হবে।এছাড়া সৃষ্টিশীলতাকে সব সময় নিজের মতো করে পোশাকের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করবেন।
বুটিক শিল্প যেহেতু এখনও আমাদের দেশে ক্ষুদ্র শিল্প বলে বিবেচিত, তাই এই ক্ষেত্রে স্থান নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। যদিও আমাদের দেশে এই শিল্পের বাজার খুব একটা বড় নয় কিন্তু তার মাঝেও ছোট বড় অনেক প্রতিষ্ঠান এ ব্যবসায়ে আসছে। তাই এককথায় এই শিল্প খুবই প্রতিযোগিতামূলক। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আপনাকে এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যেন আপনার ক্রেতারা সহজেই তাদের পছন্দের পোশাকটি সংগ্রহ করতে পারে। আর সবশেষে আমি যে কথাটি বলতে চাই তা হল পরিশ্রম করাটাই বড় কথা নয়, কাজের সাথে লেগে থাকাটাকেই আমি বড় বলে মনে করি। নিজের সৃষ্টিশীলতার সাথে লেগে থাকুন সফলতা একদিন আসবেই।