New_Employee_Orientation_Programs_largeSize,0

নতুন কাউকে নিয়োগ করার সময় কারো মধ্যে এই ব্যবহারগুলো লক্ষ্য করলে বুঝতে হবে সে ব্যক্তিই যোগ্য।

যদিও দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ, কর্মচারীরা কিন্তু শুধুমাত্র তাদের দক্ষতা কিংবা অভিজ্ঞতা দিয়ে অসাধারণ হয়ে উঠে না। আরো যা যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলঃ আচরণ, প্রেরণা, মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, মানসিক বুদ্ধি, নেতৃত্ব দেওয়া ও কথা শোনার ইচ্ছাশক্তি ও অন্যদের কাছ থেকে শেখার মানসিকতা। এসব ছাড়া দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় না বিধায় সেগুলো মূল্যহীন হয়ে পড়ে। তাই একজন নতুন কর্মচারী যে ব্যতিক্রমী হবে তা কীভাবে বুঝবেন? এই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন জেফ বস, যিনি ১৩ বছর মার্কিন সিল বাহিনীতে কাজ করে অবসর গ্রহণ করার পর এখন একটি ব্যবসা তদারককারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তিনি তার মার্কিন সিল বাহিনীর অভিজ্ঞতার আলোকে ৫টি পন্থার কথা বলেছেনঃ

. আপনি আপনার সহকর্মীদের দেখান যে আপনি শিখতে আগ্রহী ও শেখার যোগ্যতা রাখেন

আপনি হয়ত জানেন তারপরও অন্য কাউকে বলুন আপনাকে কাজটি দেখিয়ে দিতে। দায়িত্ব পাওয়ার আগেই দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করুন।

. যেকোন নতুন কাজের জন্য এগিয়ে যান

নতুন কিছু করার না থাকলেও বিদ্যমান কাজগুলোকে আরো ভালভাবে করার চিন্তা করুন। নির্দেশ আসার জন্য বসে থাকবেন না। নেতারা নিজের কাজ নিজে করে থাকে এবং নির্দেশ ছাড়াই নিজ উদ্যমে তারা কাজ করে থাকে।

. সহকর্মী, টিম আর বিভাগের কী কী চাহিদা থাকতে পারে তা বুঝতে পারা

অন্যদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে আপনি প্রমাণ করতে পারেন যে টিমওয়ার্ক আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। নতুন কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার আগ্রহ দেখালে অন্যরা বুঝতে পারবেন যে আপনি নেতৃত্ব নিতে উৎসাহী। বৃহৎ পরিসর থেকে ক্ষুদ্র পরিসরে আপনার ভূমিকা নিয়ে ভাবুন, টিম সবার আগে আসবে তারপর আসবে ব্যক্তি স্বার্থ। নিজের স্বার্থ নিয়ে সব সময় সবার শেষে চিন্তা করতে হবে।

. কর্মস্থলে নিজের যোগ্যতা তুলে ধরুন

যত ছোট কাজই হোক না কেন, আপনার সর্বোচ্চ দিয়ে  তা ভালভাবে, সময়মত ও যেকোন অভিযোগ ছাড়াই করার চেষ্টা করুন।

. সবাইকে সাহায্য করুন যার দরকার আছে এবং এমনকি যার তা দরকার নেই – উভয়কেই

আপনার করার কিছু না থাকলে অন্যকে সাহায্য করার আগ্রহ দেখান, তাতে বোঝা যাবে আপনি নিজেকে নিয়ে নন, সবার ব্যাপারেই মনযোগী।

 

কেন আচরণ গুরুত্বপূর্ণ

মানুষ ফলাফল চায়। দক্ষতা শিখে নিতে হয়। কার্যক্ষমতা তৈরি করে নিতে হয়। ভাল কোম্পানিও খারাপ সময় পার করে, কিন্তু যে একটি জিনিসের দিকে পৃথিবী কেন্দ্রীভূত তা হল মানব সম্পর্ক। টিম মেম্বারদেরকে উন্নত করে তুলতে হয় তা না হলে তারা ভালভাবে অবদান রাখতে পারে না এবং এগিয়ে যেতে পারে না। ভাল মানুষ ভাল সংস্কৃতি গড়ে তোলে, ভাল সংস্কৃতি ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা, বিশ্বাস ও মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে, খারাপ সংস্কৃতি স্বার্থপরতা, নেতিবাচকতা এবং একে অপরকে দোষারোপ করার পরিবেশ সৃষ্টি করে। বলা হয়ে থাকে টিমের মধ্যে থাকলে নিজেকে প্রতিনিয়তই উন্নত করতে হয় এবং ব্যর্থ হলে আবার উঠে দাঁড়ানো শিখে নিতে হয়। এই আচরণই নতুন কর্মচারীরা যদি কর্মস্থলে নিয়ে আসে তাহলে তারাই কাজের জন্য যোগ্য, এতে কোন সন্দেহ নেই।

Similar Posts

Leave a Reply