নিজেকে নিজের সবচেয়ে খারাপ শত্রু ভেবে নিজের উপকার করা যায়।
যখন আমি তরুণ ছিলাম, আমি বেশ কয়েকটি উঠতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছিলাম, তার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে নিজ গুণে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে। তো আমি কী করেছিলাম? আমি সিইওর সাথে মুখোমুখী হয়েছিলাম এবং পরে চাকরি হারিয়ে ছিলাম। এটা হল সার সংক্ষেপ, কিন্তু আসল কাহিনী আরো অনেক লম্বা। যাই হোক, ঘটনার কারণ ও প্রভাব কিন্তু অপরিবর্তনীয়। আমি নিজের মতে দৃঢ় ছিলাম এবং নিজের পায়ে কুড়াঁল মেরেছিলাম।
আমিই আমার সবচেয়ে খারাপ শত্রু
আসলে নিজের বোকামির জন্য আমার নিজেকে লাথি মারা উচিত ছিল। যাই হোক, ঐ ঘটনার পরই আমার ক্যারিয়ার আসলে শুরু হয়েছিল। কয়েকটি কারণের জন্য ঐ চাকরি হারানোটা আসলে আমার জন্য শাপে বর হয়েছিল। আইপিও করার পর ঐ কোম্পানিটি আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। আর যখন আমি চাকরি হারিয়ে ছিলাম, তখন ঐ কোম্পানির সুদিন চলছিল। আর আমি চাকরি হারিয়ে ছিলাম অর্থনৈতিক মন্দার সময়, তাই আমাকে সৃজনশীল হতে হয়েছিল। আমি তখন সেলস এক্সিকিউটিভ ছিলাম তার আমার জন্য শুধু মার্কেটিং চাকরিই খোলা ছিল। তাই আমি নিজেকে সেভাবে উপস্থাপন করে এক সময় একটি বিখ্যাত কম্পিউটার চিপ নির্মাতা কোম্পানিতে মার্কেটিংয়ে উচ্চ পদে চাকরি পেয়ে যাই। এরপরে আমার আর পেছনে তাকাতে হয়নি। কয়েকটি হাই-প্রোফাইল কোম্পানির সাথে লেনদেনের ফলে মার্কেটিংয়ে আমি ততক্ষণে নিজের একটা সুনাম তৈরি করে নিতে পেরেছিলাম এবং আজ ২০ বছর পর, আমি এখনও আমার ক্যারিয়ারের সুসময়ে আছি। যখন ঐ চাকরি হারিয়ে ছিলাম, তখন কে জানত যে আমার ভাগ্যে ভাল কিছু অপেক্ষা করছিল? অন্তত আমি জানতাম না। কিন্তু ঐ গল্পের একটি মজার মোড় আছে যা হয়ত অনেকেই ভাবেনি। ঐ উঠতি প্রতিষ্ঠানে আমি সর্বপ্রথম আমার নিজের পায়ে কুড়াঁল মেরেছিলাম, ঐটার পরেও কিন্তু আমি আমার নিজের পায়ে আরো কুড়াঁল মেরেছি এবং আরো কয়েকজন সিইও এর চোখের বিষ হয়েছি।
বর্তমান সময়েও আমিই আমার সবচেয়ে খারাপ শত্রু।
এটি উপলব্ধি করতে আমার অনেক সময় লেগেছে কিন্তু জানেন কী? আমাকে এটি একটা না একটা সময়ে উপলব্ধি করতেই হত, এছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। কারণটা খুব সোজা। প্রতিটি মুদ্রারই দুটি পিঠ থাকে, এটি এমন এক ধারালো তলোয়ার যা দুই দিকেই ছেদ করতে পারে। এটি আমার ব্যক্তিত্বের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আমি আমার নিজেকে বিশ্বাস করি এবং আমার প্রবৃত্তির উপর আমার আস্থা রয়েছে। আমি আমার নিজেকে যেমন তাগিদ দিই, তেমনি অন্যদেরকেও তাগিদ দিই। আমি কথা ঘুরাই না এবং আমার কথার কোন রসবোধ থাকে না। এর জন্য মাঝে মাঝে আমাকে সমস্যায় পড়তে হয়। মাঝে মাঝে আবার আমার রসহীন কথায় ভাল ফলাফল হয়। যাই হোক না কেন, সেটা আমারই কথার কারণে হয়। এখন আমি বলতে পারি যে আমার কোন আফসোস নেই। এক-দুইটি জিনিস হয়ত আমি ভিন্নভাবে করলেও পারতাম। তবে সত্যি হচ্ছে সবই শুভংকরের ফাঁকি – আমি এই কথাটাই এখানে বলতে চাইছি। আপনি অতীতে ফিরে যেতে পারবেন না, তাই তা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। আমাদের সবারই দোষ রয়েছে এবং আমরা সবাই সময়ের সাথে পরিবর্তিত হই। কিন্তু যত যাই হক না কেন, আমাদের কিছু কিছু বিষয় আছে যা কখনও পরিবর্তন করা উচিত নয়। এগুলোর জন্যই আমরা অনন্য হয়ে উঠি, এবং অন্যরা যা করতে পারেনা তা করতে পারি। মাঝে মাঝে আবার এগুলোই আমাদের সবচেয়ে খারাপ শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়। হয়ত আমি কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছুটা সবলীল, কিন্তু অন্য ব্যাপারগুলোতে আমাকে কিন্তু সেই দুই দিকে ছেদ করতে পারা ধারালো তলোয়ারের মোকাবেলা করতে হয়। আর আমি সব সময়ই কৃতজ্ঞ যে তলোয়ারটির ধার কিন্তু এখনও কমেনি।
কোন কিছু করার আগে চিন্তা করে নিন
কোন কিছু করার আগে বা কাওকে কিছু বলার আগে তার কথা চিন্তা করুন, আপনার কথা নয়। নিজেকে তার জায়গায় বসিয়ে ভাবুন এই ব্যবহার আপনি পেলে আপনার কি রকম লাগত? বা আপনি কি আসলেই এটা বুঝাতে চেয়েছেন? আপনার কথা বা ব্যবহার কি আপনি যা বলতে চেয়েছিলেন তা বঝাতে পারবে না অন্য কিছু বুঝিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিবে? পরিস্থিতি বুঝে ব্যবহার করুন
[অনুবাদ]
The article helped me to conceive some realities in practical life of contrmporary competitive world more explicitly.
I expected that the author would help us more by disclosing the actual facts or conflicts which made him to quit one company after another and get more flourished somewhere else.
Would you please benefit us kindly?