সবার যে চাকরি করতে হবে, এমনত কোন কথা নেই। যারা উদ্যোক্তা, তারা বলে থাকে যে চাকরি তাদের জন্য নয়। এর পেছনে কিন্তু কারণও রয়েছে।
১. আপনার এমবিএ না থাকা স্বত্তেও আপনি আপনার বসের চেয়ে বেশি স্মার্ট
আসল উদ্যোক্তারা স্কুলে সহজেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আইটি জগতের সব নামী দামী উদ্যোক্তারা কিন্তু তাদের কলেজ ডিগ্রি শেষ করতে পারেননি। যেমন প্রয়াত স্টিভ জবস, ফেইসবুকের মার্ক জাকারবার্গ, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, ডেল কর্পোরেশনের মাইকেল ডেল ও টামব্লারের ডেভিড কার্প। এদের কারোরই প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণ শেষ করার ধৈর্য ছিল না। বড় বড় কোম্পানিতে অ্যাডভান্সড ডিগ্রি অনুযায়ী চাকুরী প্রার্থীদেরকে ফিল্টার করা হয়, তাই আপনার যদি এমবিএ না থাকে তাহলে হয়ত আপনি আপনার বসের থেকে বেশি স্মার্ট হয়ে থাকতে পারেন।
২. আপনি সহজেই মনযোগ হারিয়ে ফেলেন
জেটব্লু এর প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড নিলিম্যানের সহজেই মনযোগ হারিয়ে ফেলার সমস্যা রয়েছে। আর এ কারণে ২০০৭ সালে তাকে তারই নিজের কোম্পানি থেকে বের করে দেওয়া হয়। অনেক গবেষণাতেই দেখা গেছে সহজে মনযোগ হারিয়ে ফেলার সাথে উদ্যোক্তা হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি লিংকড ইন ওয়েবসাইটে “দা এডিডি/এডিএইচডি অন্টোপ্রোনর” নামে একটি গ্রুপও আছে এরকম মানুষদের অনলাইনে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য। আপনি যদি সহজেই মনযোগ হারিয়ে ফেলেন, অনেক কাজ শুরু করলেও তার সবগুলো শেষ করতে পারেন না এবং কাজ করতে গিয়ে শেখার প্রবণতা থাকে, তাহলে গতানুগতিক কোম্পানির চাকুরী আপনার জন্য নয়।
৩. আপনি সবকিছু দৃশ্য হিসেবে কল্পনা করেন
কোন আইডিয়া মাথায় আসলে কী আপনি সেটার ছক বা নকশা আকঁতে বসে যান? তাহলে যে চাকুরীতে লিখিতভাবে আপনার আইডিয়া ব্যাখ্যা করতে হবে, সেই চাকুরী আপনার জন্য নয়।
৪. আপনি অন্যদের কথা শোনার ব্যাপারে পারদর্শী নন
অনেক উদ্যোক্তা থাকে যারা নিজেদের কাজের ব্যাপারে কথা বলতে বেশ পছন্দ করেন। অন্যদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা সুযোগ খুঁজতে থাকে। তারা যে এটা করে হয়ত তারা নিজেরাও জানে না, তাই আপনার মধ্যে এই স্বভাব থাকলে কোন বিশ্বস্ত বন্ধু বা আপনজনের সাহায্য নিন। আপনি যদি অন্যদের কথা শোনায় মন না দিতে পারেন, তাহলে যে চাকুরীতে আপনাকে অন্যের কথা শুনে কাজ করতে হবে, সেই চাকুরী আপনার না করাই ভাল।
৫. আপনি অনেক কাজেই হাত দেন কিন্তু তার সবগুলো শেষ করতে পারেন না
এমন হয় কী যে আপনি একটি কাজে হাত দিলেন আর কিছুক্ষণ পরেই আপনার মাথায় নতুন কাজের আইদিয়া চলে আসল? যদি আপনি নিজের কোম্পানি চালান, তাহলে নিজের যেকোন আইডিয়া নিয়ে আপনি কাজ করতেই পারেন কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানে বসেরা চাইবে যে কর্মচারীরা তাদের আইডিয়াকে গুরুত্ব দিক। সব উদ্যোক্তাই জীবনে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, আমাকে কী চাকুরী করতে হবে? নতুন গ্রাজুয়েটদের অনেকেই আছে যারা তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন সাময়িকভাবে দূরে সরিয়ে প্রথমে কোন প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী থাকে, আবার অনেকে কয়েক বছর একটি কোম্পানিতে কাজ করে পরে নিজের কোম্পানি শুরু করে এবং কয়েক বছরের মাথায় অন্যান্য কোম্পানি তার কোম্পানিকে কিনে নেওয়ার আগ্রহ দেখায়, আবার কেউ কেউ আছে যাদের কোম্পানি ব্যর্থ হয় এবং তাদেরকে হয় নতুন কিছু শুরু করতে হয় বা কোন চাকুরী খুঁজে নিতে হয় জীবিকা নির্বাহের জন্য। যদি আপনি চাকুরীর অযোগ্য হয়ে থাকেন, তাহলে কোন কোম্পানির জন্য চাকুরী না করে নিজের কোম্পানি বানিয়ে অন্যকে চাকুরী দেওয়াটাই শ্রেয় হবে।