যদি কেউ আপনাকে বিশ্বাস না করে তাহলে ব্যবসায় আপনি উন্নতি করতে পারবেন না। অন্যের কাছে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে এই লেখাটি পড়ুন।
আপনার কাস্টমার, বিনিয়োগকারী ও সহকর্মীদের সাথে যত দ্রুত আপনি নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে পারবেন, তত দ্রুতই আপনি ব্যবসায় সাফল্য পাবেন। এখানে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে ৬টি উপায় বাতলে দেওয়া হলঃ
১. নিজস্বতা বজায় রাখুন
রঙ মাখানো কর্পোরেট নাম বা জব টাইটেল দিয়ে কাস্টমারদের আকৃষ্ট করার দিন শেষ। প্রতিনিধি হিসেবে নয় নিজের মত করে নিজেকে উপস্থাপন করলে কাস্টমাররা আপনাকে বেশি বিশ্বাস করবে। যখনই আপনি আপনার নিজের থেকে বেশি কিছু করতে চাইবেন, তখনই আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হয়ত আপনার ভেতর উদ্যম আছে কিন্তু আর কিছু নেই, তারপরও নিজের উদ্যমকেই নিজের মত ক্রএ প্রকাশ করুন।
২. আপনার পণ্য/সেবার ন্যায়সঙ্গত মূল্য জেনে নিন
যখন আপনার পণ্য/সেবার ন্যায়সঙ্গত মূল্য জানতে পারবেন তখন আপনার পণ্য/সেবার ভাল ও মন্দ দিক আপনি নির্দ্বিধায় তুলে ধরতে পারবেন। তখন আপনি কাস্টমারদের অযৌক্তিক চাহিদার বিপরীতে আপনার কোম্পানির পলিসি তাদের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে ও ব্যাখ্যা করতে পারবেন। আপনি কী দিতে পারবেন সে ব্যাপারে কনফিডেন্ট হলে অন্যরা আপনাকে বিশ্বাস করবে।
৩. গবেষণা ও বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে পর্যালোচনা করুন
যেকোন আলাপে যদি আপনি সঠিক তথ্য দিতে পারেন তাহলে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে। কোম্পানির ব্যাপারে জানা, ইন্ডাস্ট্রিতে এর ভূমিকা কী, কোন কোন কাস্টমার এর আওতাভুক্ত, কাস্টমারের কোম্পানিতে কে কে কাজ করে – এসব জেনে নিন। একজন স্মার্ট সিইও কিন্তু সবজান্তা হয় না, তাই যত বেশি জানবেন তত ভাল কারণ তখন পুরনো সমস্যায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে তা সমাধান করতে পারবেন।
৪. ভালভাবে শুনুন, ভাবুন ও সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন
যারা বিশ্বাসযোগ্য তাদেরকে বারবার সবকিছু প্রমাণ করতে হয় না। যখন কোন কাস্টমার কথা বলে, তখন মন দিয়ে শুনুন, কাস্টমার কী বলল তা নিয়ে চিন্তা করুন এবং তারপর আপনার মন্তব্য দিন বা দরকার হলে অন্য কোন প্রশ্ন করুন বা কোন অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
৫. সেলসের ভাষায় কথা বলবেন না
যখনি আপনি সেলসম্যানদের মত কথা বলতে শুরু করবেন, তখনই কাস্টমাররা বিরক্ত হয়ে আপনাকে এড়িয়ে যাবে। যখন আপনি কাস্টমারদের সাথে কথা বলবেন, তখন সেলসের ভাষা পরিহার করুন (যেমন মানি ব্যাক গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ সেবা, সর্বোচ্চ মান) এবং এর পরিবর্তে কাস্টমারকে বলুন কীভাবে আপনার পণ্য/সেবা তার উপকারে আসবে।
৬. হিরো না হয়ে অনুঘটক হোন
সিনেমায় দিন শেষে হিরো এসে সবাইকে বাঁচায়। কিন্তু বাস্তবের হিরোরা এতটা ভাগ্যবান নয়। হিরোর মত কাজ করে এখানে হিরো হওয়া যায় না বরং সমস্যাকে খন্ডন করে এর সমাধানের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে নিতে হয়। আপনার যেসব কাস্টমারদের অনেক চাহিদা থাকে, তাদের চাহিদাগুলো কোনটি বেশি জরুরি সেটি জেনে নিয়ে সেভাবে কাজ করলে কাস্টমারের চোখে আপনি হিরো হয়ে উঠবেন এবং সেই সাথে বিশ্বাসের ক্ষেত্রও তৈরি করে নিতে পারবেন।