আপনার কোম্পানি বড়-ছোট,নতুন-পুরাতন যেমনই হোক না কেন, আপনার অবশ্যই বিরক্তিকর কোন কর্মীর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। নিচে সবচেয়ে বিরক্তিকর দশ ধরণের মানুষের বর্ণনা দেওয়া হল, যাদের সাথে আপনিও কাজ করেছেন। আর কিভাবে তাদের শোধরাবেন সেই টিপসও দেওয়া হল।
অস্থিরচিত্তের মানুষ
এরা ডিসিশন নেওয়ার আগে দশদিন, নেওয়ার পড়ে আর চৌদ্দদিন সেটা নিয়ে চিন্তা করে, পরিবর্তন করে। এরপর যখন তার লাফালাফির জন্য কাজে সমস্যা হয় তখন বলে “এটা আমার দোষ নয়!”।
এদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় বেধে দিন, আর যদি সিদ্ধান্ত জানাতে না পারে তবে কিভাবে কাজটা হবে তাও বলে দিন। সময় শেষ হলে, আর কোন সুযোগ দেবেন না।
প্রতিযোগী
কাজে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব থাকা ভালো, কিন্তু কিছু মানুষ পরিস্থিতি যাই হোক না কেন সবসময় নিজে জেতার চিন্তা করে। নিজে জেতার আগে তার শান্তি নাই, নিজে জেতার চেয়ে বড় কথা, তারা অন্যকে হারতে দেখলে মজা পায়।
এদের দলগত কাজে নিয়োগ দিন। দলের কাজের সফলতার উপর তাকে বোনাস দিন, কখনই ব্যক্তিগত কাজের জন্য তাকে বোনাস দিবেন না।
নাট্যশিল্পী!
এরা যে কোন ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ দেখায়। সব কিছুতে নার্ভাস হয়ে বিতিকিচ্ছিরি কান্ড করে বসে। নিজে শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামাল তো দিতেই পারে না, উল্টা অন্যদের ভয় পাইয়ে দেয়।
আপনার সহ্য করার লিমিট এদের জানিয়ে দিন। বেশি কাহিনি করলে, মিটিং থেকে বের করে দিন।
অতিরিক্ত পণ্ডিত!
এরা নিজে থেকে অনেক বেশি বুঝতে চায়। সব সময় ভিন্নভাবে কিছু করার চেষ্টা করে। ডেডলাইন ইচ্ছা করে মিস করে, শুধু এটা প্রমাণ করার জন্য যে তার নিয়ম মেনে চলার কোন দরকার নেই। নিজের কাজের ফলাফল চিন্তা না করেই একটা কাজ করে বসে।
এদের “কাস্টমার এডভোকেট” হিসেবে নিয়োগ দিন। ভালো কাজ করবে। ক্রেতা যা চায় তা যাতে ক্রেতার কাছে পৌঁছায় সেই ব্যবস্থা তারা করবে।
একঘেয়ে মানুষ
সে আপনাকে সবসময় কিছু না কিছু জানাতে চাবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনি সেটা আগে থেকেই জানেন। তার লিস্টে কিছু পয়েন্ট থাকে যেটা সে আপনাকে বুঝিয়েই ছাড়বে। আর সব বিষয়েই তার কিছু বক্তব্য থাকে!
মিটিং এর আগে, মিটিং এর টপিকগুলো লিখিত আকারে সবাইকে দিন। সময় বরাদ্দ রাখুন ঠিকমত। আর ভালো হয় যদি মিটিংয়ে পাওয়ারপয়েন্ট নিষিদ্ধ করেন।
ইন্টারনেট অ্যাডিক্ট
সে মনে করে কাস্টমারের সাথে অনলাইনে সম্পর্ক রক্ষা করে সে কোম্পানির লাভ বাড়াচ্ছে। আসলে গল্প গুজব আর সময় নষ্ট ছাড়া সে আর কিছুই করে না।
এদের নির্দিষ্ট কোন কাজ দিন। যেমন- সপ্তাহে নির্দিষ্ট সংখ্যক পণ্য বিক্রয় করা।
অত্যন্ত রাগী
এরা নিজেদের মনমত কাজ না হলে বা সঠিকভাবে না হলে চিল্লাচিল্লি করে। মিটিংয়ে, টেলিফোনে, আপনার মুখের উপর চিৎকার করে। পরে মাফ চাইলেও, সবাই তার কারণে খুব তটস্থ থাকে।
আপনার গলার জোর বাড়ান, নাহলে আপনার কথা শুনবে না। এরপর বুঝিয়ে দিন আপনি কোন অপেশাদারী আচরণ বরদাশত করবেন না। দরকার পড়লে রুম থেকে বেড়িয়ে যান তার মেজাজ ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত।
ফাঁকিবাজ!
কাজ নেওয়ার সময় মানা না করলেও, ঠিকমত শেষ করতে পারে না। ডেডলাইনের শেষের দিকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অন্যরা যখন তার কাজ করে কাজটা শেষ করে, তখন সে ক্লান্তিদূর করার জন্য ঘুরতে যায়।
এদের সব কাজে উপর নজর রাখুন। প্রতিটা ধাপের জন্য জবাব দিতে হলে, এই অভ্যাস ছুটে যাবে।
অত্যন্ত সৃষ্টিশীল!
নিজের কাছে তিনি মহা আবিষ্কারক! এবং সে চেষ্টা করবে আপনাকে এটাই বোঝাতে। তার অতীতের কাজ আর ভবিষ্যতের কল্পনায় সে এতো বিভর থাকে যে বর্তমানে সে কোন কাজই করে না।
তার প্রশংসা করুন, এরপর তাকে একটা প্রজেক্ট ভাগ করে একএকটা ভাগ নিয়ে আলাদাভাবে কথা বলতে বলুন।
আতংকিত!
কেউ কেউ বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারে, অন্যরা সেরকম না। এই ধরনের লোক দিনের পর দিন ঠান্ডা মাথায় কাজ করে। কিন্তু বিপদের সময় গলাকাটা মুরগীর মত লাফায়।
আগে থেকে বিপদের আভাস দিন যাতে বেশি ধাক্কা না লাগে। আর অফিসে ক্যাফেইনের পরিমাণ ওইদিন কমিয়ে রাখুন।
Good write up. Can we upload this on our portal and facebook?
Regards,
Sharmeen
Great Posting, seems all came from experience. Effective for all!