কিছু নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনার সময়ের অপচয় কমান আর গুছিয়ে কাজ করুন।
১। আপনার ইমেইল গুছিয়ে রাখুন : সেনবক্স (SaneBox)
সেনবক্স অ্যালগরিদম ব্যবহার করে আপনার দরকারী আর অদরকারী মেইলগুলো আলাদা করে ফেলে। বিশ্বাস করে একবার ব্যবহার করে দেখুন।
টিপসঃ @SaneLater দিনে দুবার চেক করুন, খবর পড়তে চাইলে বা নতুন অফার জানতে চাইলে @SaneBulk চেক করুন, আর ফালতু যত মেইল আসবে সেগুলো যাবে @SaneBlackHole-এ।
২। আপনার সকল নোটের খোঁজ রাখুনঃ এভারনোট (Evernote)
আপনার সকল নোট, এভারনোট ক্লাউডে সেভ করে রাখবে। এতে করে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে নোট চেক করতে পারবেন।
টিপসঃ ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক সবক্ষেত্রেই এটা ব্যবহার করুন। সব ব্যবসায়িক নোট সরাসরি এভারনোটে টুকে রাখুন। আর যেসব ডকুমেন্ট আপনি নিজের কাছে রাখতে চান, সেগুলো সরাসরি ফ্যাক্স বা স্ক্যান করে এভারনোটে রাখুন।
৩। আপনার ডকুমেন্ট ইন্টারনেটে সেভ করুনঃ ড্রপবক্স (DropBox)
আপনার যত জরুরী কাগজপত্র আছে সেগুলোর ইলেক্ট্রনিক ব্যবস্থায় নিরাপদে ক্লাউডে সেভ করুন। পরে যে কোন জায়গা থেকে সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
টিপসঃ ডকুমেন্ট গুলো এমনভাবে সাজান যাতে নতুনগুলো প্রথমে দেখায়। কম্পিউটারে কিছু সেভ না করে বরং ক্লাউডে সেভ করুন। নতুন যা করবেন সরাসরি ক্লাউডে সেভ করবেন।
৪। আপনার কাজের লিস্টকে কার্যকর করুনঃ অ্যাকশন মেথড (Action Method)
এটা একটা অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন, যার কাজ হল আপনার কাজের লিস্ট সাজানো। কোন কাজটা আগে করা দরকার, কোন কাজটা হয়ে গেছে এসব ব্যাপারগুলো এই অ্যাপ খুব সহজে সাজিয়ে রাখে।
টিপসঃ অ্যাপটির তিন রঙের কালার কোড ব্যবহার করুন। কমলা-অত্যন্ত জরুরী, নির্ধারিত দিনে অবশ্যই শেষ করতে হবে, নীল- যে কাজের ডেডলাইন এক দুই দিন পেছানো যাবে, ধূসর- যে কাজগুলো কমলা আর নীল রঙের কাজের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ। এটার একমাত্র সমস্যা হল, এটা ইন্টারনেট ছাড়া ব্যবহার করা যায় না। তবে আপনার লিস্টের একটা পিডিএফ আপনি চাইলেই পাবেন।
৫। ভ্রমণের পরিকল্পনা সাজান। ট্রিপ-ইট (TripIt)
এটা আপনার সব তথ্য এক জায়গায় সেভ করে রাখবে। আপনি কোথায় আছেন, এই তথ্যটি আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অথবা নিজেও যে কারো কাছে পাঠাতে পারেন। এর উন্নত সংস্করণ আপনাকে ফ্লাইট ডিলে হওয়ার সতর্ক বার্তা পাঠাবে।
৬। আপনার ভয়েস-মেইলগুলো লিখে রাখুনঃ ইউ-মেইল (YouMail)
এই সার্ভিসটা আপনার সকল ভয়েস-মেইলকে টেক্সটে পরিবর্তন করে দেয়। ফলে আপনি সহজেই মেইল দেখতে, পড়তে পারবেন।
৭। আপনার সামাজিক যোগাযোগের অ্যাকাউন্টগুলো একত্রিত করুনঃ হুটস্যুট (HootSuite)
এই ওয়েবসাইটটি আপনাকে টুইটার, ফেইসবুক, ইয়ামার সবকিছু এক জায়গা থেকে ব্যবহার করার সুবিধা দিচ্ছে।
টিপসঃ হুটস্যুটের “অটো শিডিউল” ব্যবস্থা ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার সকল পোস্টগুলো সহজে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৮। আপনার পুরো টিমের সাথে যোগাযোগ রাখুনঃ ইয়ামার (Yammer)
এটা একটা ব্যক্তিগত টুইটারের মত। আপনার কোম্পানির জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
টিপসঃ আপনার কোম্পানির সবাইকে বলুন এটা ব্যবহার করতে। যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে এটা ব্যবহার করুন। কর্মচারীদের ব্যবসা বা অন্য যেকোন বিষয়ে কিছু শেয়ার করার থাকলে এখানে শেয়ার করতে বলুন। কাজও হবে মজাও হবে।
৯। সুস্থ থাকুনঃ এমআই-কোচ(miCoach)
ব্যায়াম করলে শরীর মন দুটোই চাঙা থাকে। এই অ্যাপ আপনার ব্যক্তিগত ট্রেনার হিসেবে থাকবে।
টিপসঃ আগে থেকে ব্যায়াম ঠিক করে রাখুন। হার্ট রেইট মনিটর দেখে নিজের অবস্থা বুঝে নিন।
১০। ভালো করে ঘুমানঃ আই-স্লিপ ইজি (iSleep Easy)
রাতে ঘুম খুবই জরুরী। সারা দিনই আপনি কাজ করেন। এই মেডিটেশন অ্যাপ আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে আপনার যদি জেট ল্যাগ থাকে।
[অনুবাদ]