বিপণন কী? দশজন সেলসম্যানকে প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করুন, আপনি দশটি ভিন্ন উত্তর পাবেন। একই প্রশ্ন দশজন এক্সিকিউটিভদেরকে জিজ্ঞেস করুন, আপনি আরো দশটি ভিন্ন উত্তর পাবেন। এতকিছুর পরেও, বিপণন আসলে কী? বিপণনকে নিচের ৫টি সাধারণ নীতির আলোকে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
১. বিপণন হল ৬০% কথা শোনা আর ৪০% কথা বলা
যখন কোন ক্রেতার সাথে আপনি কথা বলেন, আপনার প্রধান লক্ষ্য থাকা উচিত আপনি কীভাবে ঐ ক্রেতাকে সাহায্য করবেন (এবং আদৌ করতে পারবেন কিনা) তা জানা। আপনি যদি শুধু আপনার কথাই বলে যেতে থাকেন, তাহলে আপনি ক্রেতাকে কখনও বুঝতে পারবেন না।
২. একটি বিপণন বার্তায় দুটি বাক্য থাকবে
১) কেন গ্রাহকেরা আপনাকে কাজ দেবে এবং ২) কেন আপনি অন্যদের থেকে আপনার কাজটা ভাল করে করেন। যদি এই দুটি ছোট প্রশ্নের উত্তর আপনার বিপণন বার্তায় না থাকে, তাহলে আপনি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না, আপনি বরং আবোল-তাবোলই বলে যাবেন শুধু।
৩. গ্রাহকেরা তাদের ব্যবসার ব্যাপারে কেয়ার করে, আপনার ব্যাপারে না
আপনার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি নয়, বরং গ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই প্রতিটি বিপণন সংক্রান্ত কথোপকথন চালিয়ে যেতে হবে। কখনও বলবেন না যে “আমার পণ্যটাই সেরা”, বরং বলুন “আমি এভাবে আপনাকে সাহায্য করেতে পারি”।
৪. আপনার সম্মান সবার আগে
বর্তমানের তথ্য প্রযুক্তির যুগে আপনি ধরে নিতে পারেন যে, কোন এক ব্যক্তি যে আপনার কাছ থেকে যেকোন কিছু ক্রয় করল, সে অবশ্যই আপনার ব্যাপারে আগে থেকেই অবগত। আপনি যেই হোন না কেন, আপনার ব্যাপারে জানতে একটা গুগুল সার্চই যথেষ্ট।
৫. বিপণন হল সম্পর্ক তৈরির সোঁপান
‘বিপণন জ্ঞান” হিসেবে যেসব অসার তত্ত্ব প্রচলিত আছে তার তুলনায় বলতে হয়, গ্রাহকেরা তখনই আপনার কাছ পণ্য কিনবে যখন তারা আপনাকে বিশ্বাস করবে, সম্মান করবে এবং পছন্দ করবে। অন্য কোন কিছু এখানে তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
এই ৫টি নীতিই বিপণনের প্রাণ, তবে এই তালিকায় আরো কিছু নীতি সংযোজিত হতে পারে।