শেয়ার বাজার কি?
কোম্পানি মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তার উদ্দিষ্ট প্রাথমিক মূলধনকে কতগুলো ছোট অংশে ভাগ করে সাধারন জনগনের কাছে বিক্রি করে দেয়, এই ছোট অংশগুলোকে এক একটি শেয়ার বলে। যেখানে এই শেয়ার কেনা বেচা হয় তাকে শেয়ার বাজার বলে। আমাদের দেশে শুধুমাত্র ঢাকা এবং চট্রগ্রামে এই শেয়ার বাজার আছে।
যে ধরনের পণ্য শেয়ার বাজারে ক্রয় বিক্রয় করা হয়ঃ
সাধারনত বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলো শেয়ার বাজারে তাদের কোম্পানির শেয়ার বিক্রয় করে থাকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অপচনশীল দ্রব্য উৎপাদনকারী দেশী-বিদেশী বা বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের শেয়ার বিক্রয় করে থাকে। কোম্পানির আয়ের উপর শেয়ারের মূল্য ও তা থেকে লাভের পরিমান নির্ভর করে।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য যা যা করতে হয়ঃ
প্রাপ্ত বয়স্ক যে কেউই শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত টিপসগুলো অনুসরন করলে নিজের কষ্টার্জিত অর্থ নিরাপদ থাকবে-
১। প্রথমেই যে কোন ব্যাংক-এ একটি সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে
২। সেই ব্যাংক হিসাবের বিপরিতে CDBL(সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেড)- এর অধীনে বিও একাউন্ট খুলতে হবে। যেকোনো ব্রোকার হাউস থেকেই বিও একাউন্ট খোলা যায়। শেয়ারের ব্যবসার ক্ষেত্রে ভালো ব্রোকার হাউসের বিকল্প নেই। বিও একাউন্ট খোলা হওয়া মাত্র আপনি শেয়ার কিনতে পারবেন।
কিছু টিপসঃ
১। শেয়ারের ব্যবসা করার আগে অবশ্যই এ ব্যপারে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা ভালো। একটু পড়াশোনা ও ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে তারপর বিনিয়োগ করা বুদ্ধিদীপ্ত কাজ।
২। যেকোনো কোম্পানির শেয়ার কেনার আগে সে কোম্পানির সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। কোম্পানির আগের ট্র্যাক রেকর্ড সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করুন।
৩। শেয়ারের ব্যবসায় লাভ লোকসান দুটোই হতে পারে। বিনিয়োগ করার সময় এ কথাটি মাথায় রাখা খুবই জরুরী।
৪। শুরুতেই বেশি পরিমাণ লাভের আশায় অতিরিক্ত টাকা বিনিয়োগ না করাই ভালো। মনে রাখতে হবে যে ধার করা টাকা দিয়ে বা নিজের সর্বস্ব বেচা টাকা দিয়ে শেয়ার ব্যবসা করাটা একেবারেই উচিৎ নয়।
৫। কারো কথায় বা কোন ধরনের গুজবে কান দেবেন না। নিজে দেখে, বুঝে এবং যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন।
৬। সবসময় অধিক মুনাফা আশা না করাই ভালো। মনে রাখবেন, বেশি মুনাফার আশা করা মানে বড় একটা ঝুঁকি নেয়া।
৭। শেয়ার মার্কেটের গতিবিধির উপর সব সময় চোখ রাখতে হবে। যখন দাম বারতে থাকবে, তখন যত তাড়াতাড়ি কিনতে পারবেন তত বেশি লাভ পাবেন। আর যখন দাম কমতে থাকবে, তখন যত তাড়াতাড়ি বেচতে পারবেন তত কম লোকসান হবে।
আশা করি উপরিউক্ত টিপসগুলো আপনাকে এবং আপনার অর্থকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে।