এজেন্ডাবিহীন মিটিং পরিহার করুন
মিটিং তখনই কাজে দেয় যখন সবাই জানে তারা কেন মিটিং করতে এসেছে। এজেন্ডা থাকলে মিটিংয়ের প্রাণ ও উদ্দেশ্য থাকে। এজেন্ডা না থাকলে মিটিংয়ের আলাপ অন্যদিকে চলে যায় যা হয়ত কোন অর্থ বহন করে না। এতে সময়ের অপচয় ঘটে।
অপরিচিত কলারের ফোন ধরবেন না
অপরিচিত যে কেউ কল করলে তা ধরতে হবে এমন কোন কথা নেই, তবে টেলি-সেলসের কাজ হলে ভিন্ন কথা। অপরিচিত কল অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয়। তাই তা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
ভয়েস মেইল বন্ধ করে দিন
ভয়েস মেইল থাকলে সেখানে আসা বার্তাগুলো শুনতে আর উত্তর দিতে গিয়ে আপনার সময়ের মূল্যবান মিনিট নষ্ট করে দেয়। হয়ত ইমেইল হলে তা অল্প সময়ের মধ্যে সেরে ফেলা যেত। ভয়েস মেইল থাকলে তা বন্ধ করে দিন আর যোগাযোগের জন্য আপনার ইমেইল ব্যবহার করুন।
আপনার ইমেইল প্রোগ্রামের বাছাই পদ্ধতিকে কাজে লাগান
অনেক ইমেইল বার্তা থাকলে সেগুলো এক এক করে বাছাই করতে গেলে অনেক সময় লেগে যায়, তাই আপনার ইমেইল প্রোগ্রামের নিজস্ব বাছাই পদ্ধতি বা ফিল্টারকে কাজে লাগান। গুরুত্বপূর্ণ মেইলগুলোকে একত্রিত করে রাখুন তাতে সেগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিতে সুবিধা হবে আর অপ্রয়োজনীয় মেইলগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখুন যাতে সেগুলো দেখে আপনার সময় নষ্ট না হয়।
কাজের সময় ইমেইল ও মোবাইল বার্তা বন্ধ করে দিন
সৃজনশীল বা গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেখানে জটিল তথ্য নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় – এমন কিছু করার সময় ইমেইল আর মোবাইল বার্তা বন্ধ করে দিন। আগে কাজ শেষ করুন, তারপর অন্যদিকে মন দিন।
সামাজিকতাকে সীমিত রাখুন
কিছু মানুষ আছে যারা অফিসে আসেই সহকর্মীদের সাথে গল্প গুজব করার জন্য। এরা প্রায়শই কফি বা চা হাতে দাঁড়িয়ে থাকে আর যাকে পায় তার সাথেই গল্প জুড়ে দেয়। এরকম মানুষ এড়িয়ে চলুন, গল্প গুজবে সময় নষ্ট না করে তা কাজের পেছনে ব্যয় করাই শ্রেয়।
নিজের দেহ ঠিক রাখতে সঠিক খাদ্য গ্রহণ করুন
কাজ করার জন্য চাই পর্যাপ্ত শক্তি আর দেহের শক্তি আসে খাবার থেকে। যেসব খাবার দেহে শক্তি যোগায় সেসব খাবার আপনার খাদ্যতালিকায় সংযোজন করে নিন।
প্রতি ঘন্টায় ৫ মিনিট হাঁটার বিরতি নিন
বেশিক্ষণ বসে থাকা দেহের জন্য ভাল নয়। দীর্ঘ সময় বসে থাকলে দেহ অনমনীয় হয়ে পড়ে আর এতে ব্যথাও হতে পারে। কাজ করার জন্য সুস্থ দেহ অপরিহার্য। তাই অবশ্যই একটু বিরতি নিয়ে উঠে দাঁড়ান আর হাঁটাচলা করুন।
দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে করতে অনেকেই সময়ের অপচয় করে ফেলে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে সেই সময় আর নষ্ট হবে না।
প্রতিদিন ১২ ঘন্টা নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখুন
ঘুম ও নিজের ব্যক্তিগত কাজের সময় নিজেকে সব যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখুন, এতে আপনার জীবনে চাপ কমে আসবে, আপনার বিশ্রাম নিশ্চিত হবে এবং পরবর্তীতে কাজের সময় আপনি আরো বেশি কর্মক্ষম হতে পারবেন।